অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়। অনলাইন থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করার হাজারটি উপায়ে রয়েছে তবে তার মধ্য সহজ কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সত্যিই অনলাইন থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা কিভাবে অনলাইন থেকে মাস শেষে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করি সেই বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়লে আপনিও মাস শেষে অনলাইন থেকে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আনলিমিটেড ইনকাম করার সেরা উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল। আমাদের এই পোস্টটি ফলো করে আপনি ও অনলাইন থেকে ভালো পরিমান একটি আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার অথবা মোবাইল ডিভাইস থাকতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে মাস শেষে আপনি অনলাইন থেকে লাখ ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগ্গিং

অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই তা জানতে হবে। অনলাইনে কি কাজ করবেন এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না করে থাকলে তাহলে আপনাদের জন্য সবচেয়ে সহজ হবে ব্লগিং করা। বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্লগিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খুব কম সময়ে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং আদর্শ। এছাড়াও আপনি স্টুডেন্ট অবস্থায় ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করবেন? ব্লগিং করার জন্য কি কি জানা প্রয়োজন? এবং কিভাবে আপনার একটি ওয়েবসাইট পাবলিশ করবেন এবং তাতে আর্টিকেল লিখে এডসেন্স এবং অন্যান্য এডস কোম্পানি থেকে টাকা ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে জানুন।

আপনি গুগলে বা অনলাইনে ব্লগিং নিয়ে অনুসন্ধান করলে অনেক আর্টিকেল পেয়ে যাবেন যে আর্টিকেলের মাধ্যমে ব্লগিং শিখতে পারবেন এবং কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা ব্লগিং শেখানোর জন্য কোর্স করিয়ে থাকে। আপনি চাইলে আমাদের থেকেও ব্লগিং কোর্সটি করতে পারেন।

ব্লগিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডোমেইন সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং হোস্টিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে তবে প্রাথমিক দিক দিয়ে গুগলের ফ্রি হোস্টিং ব্লগার ব্যবহার করা যেতে পারে। অনলাইনে ওয়েবসাইট পাবলিশ করার পর সেখানে এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখা পাবলিশ করতে হবে।

ব্লগে অনেকগুলো পোস্ট হয়ে গেলে google এডস লাগানোর জন্য এডসেন্স আবেদন করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ পেয়ে গেলে ইনকাম করার জন্য রেডি হবে। আমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গুগল অ্যাডস শো করে টাকা ইনকাম করছি। আপনিও চাইলে এরকম একটি সাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং মানেই একটি মুক্ত পেশা। তবে প্লানচিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কাজের প্রতি এক্সপার্ট হতে হবে। অনলাইনে ক্লায়েন্টের কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে ফাইবার ও বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।

এখন অনলাইনে যারা ইনকাম করছে তাদের বেশিরভাগই ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ভালো টাকা ইনকাম করছে তবে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা হলেও এটি করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার অবশ্যই দক্ষতা থাকতে হবে। দক্ষতা ছাড়া আপনি কোন কিছু সার্ভিস দিতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন। আপনার কাজের উপরে নির্ভর করবে আপনি ঠিক কত টাকা ইনকাম করবেন আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে কাজ পান এবং ক্লায়েন্টের সবগুলো কাজ করে দেন সে ক্ষেত্রে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি পেশা হলো ব্লগিং এফিলিয়েট মার্কেটিং ইউটিউব ইন অথবা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। ফাইবার থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং ডট কম, আপনি খুব সহজেই ভিজুয়াল, অডিও এডিটিং, ভিজিটিং কার্ড, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েবসাইট ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব

বর্তমানে ইউটিউব ব্যবহার করে না এরকম মানুষ পাওয়া যাবে না। ইউটিউবে টিক টক ভিডিওর মত সোর্স ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি টিক টক অথবা সোর্স ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনার জন্য ইউটিউবে হটস ভিডিও তৈরি করে চ্যানেলে আপলোড করে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং ইউটিউবের জন্য একটি ভালো নাম দেখে চ্যানেল খুলতে হবে। এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ধারণকৃত ভিডিও বা তৈরিকৃত ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে।

ইউটিউবের মনিটাইজেশন অন করার জন্য চার হাজার ঘন্টা ও এক হাজার সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হবে। একবার আপনি তাদের এই শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনার youtube চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করে দেওয়া হবে। এবং আপনার ভিডিও প্রতিটি ভির জন্য আপনাকে টাকা প্রদান করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে তবে বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে টাকা ইনকাম করছে। আপনি ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও খুব সহজেই আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেইসবুক এখন ইউটিউব এর মত মনিটাইজেশন দিচ্ছে তাই আপনি ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক থেকেও আর্নিং করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আর্নিং করার জন্য আপনার একটি বিজনেস প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট প্রয়োজন হবে। অথবা আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।

ফেসবুক পেজে আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে অথবা ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন অন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করবেন এই বিষয়ে অনলাইনে অনেক ভিডিও এবং আর্টিকেল রয়েছে আপনি চাইলে গুগল থেকে জেনে নিতে পারবেন।

ড্রপশিপিং

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা হল ড্রপশিপিং। ড্রপ শিপিং ব্যবসা করার জন্য না আপনার প্রোডাক্ট প্রয়োজন না আপনার প্রোডাক্টের স্টক করা প্রয়োজন। অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারবেন। এর জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে অথবা সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং থাকতে হবে।

ড্রপশপিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো শপিং। লিস্ট করবেন এবং ভিজিটরদেরকে সেই লিঙ্কে প্রবেশ করিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করা সম্ভব। ড্রপ শিপিং সবচেয়ে সহজ এ কারণেই এর জন্য আপনাকে কোন পোস্টিং ভাড়া নিতে হবে না আপনি চাইলে সবই একাউন্ট খুলে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্টগুলো লিস্ট করে নিতে পারবেন এবং আপনার স্টোরে সাজিয়ে গুছিয়ে সেখানে ভিজিটরদেরকে ইনভাইট করে খুব সহজে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।

ড্রপ শিপিং হলো একটি স্টক ব্যবসা যেটি আপনার পণ্য না হলেও চলবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্টগুলোকে নির্বাচন করতে পারবেন এবং তা ক্রেতার কাছে সেল করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। অর্ডার থেকে শুরু করে সবকিছু শিপিং সাইট বহন করবে আপনার দায়িত্ব শুধু পণ্যকে ভিজিটরগণের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে সাহায্য করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

প্রতিটি ব্লগার এর কাছে গুগল এডসেন্সের থেকে এফিলেট মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কারণ গুগল এডসেন্সের থেকে এফিলেট মার্কেটিং করে আরো বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এবং কি কারণে এফিলেট মার্টিন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে অথবা একটি ওয়েবসাইটের পেজ থাকতে হবে যেখানে আপনার প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করতে পারবেন এবং সেই গ্রুপ বা পেজে অনেকগুলো ভিজিটর থাকবে যাদের কাছে আপনার পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন এরকম পেজ থাকতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ব্লক সাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি চাইলে এমাজন, ইবে, এবং বাংলাদেশিও ব্র্যান্ড দারাজ থেকে পণ্যর লিংক কপি করে বা পণ্যর র ভালো মন্দ তুলে ধরে একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারেন এবং পরিবর্তে আপনাকে প্রতিটি বিক্রির জন্য কিছু কমিশন দেওয়া হবে আর সেই কমিশন আপনার একাউন্টে এসে জমাকৃত হবে।

আপনি যদি একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর থাকে তাহলে সেখানে এফিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন। কপি করে আপনি খুব সহজে আপনার পোষ্টের মাঝখানে ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে ক্লিক করে কেউ ওই প্রোডাক্ট কিনলে তাহলে অবশ্যই আপনি কমিশন পাবেন।

আমাদের শেষ কথা: আমরা এখানে সেই সব বিষয়ের কথা বলেছি যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যদি আরো কোন বিষয় নিয়ে অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের নির্দ্বিধায় কমেন্ট করতে পারেন আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেয়ার সহযোগিতা করব।

Leave a Comment