ভালোবাসা দিবস কত তারিখ

ভালোবাসা দিবস কত তারিখ – ভালবাসা দিবসের ইতিহাস

বাংলাদেশে বর্তমানে ভালোবাসা দিবস খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশেষ করে তরুণদের মাঝে যেন এই দিবস এক নতুন রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির মিশ্রণে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নামে এটি পালিত হয়। এই দিবসে বিভিন্ন সংস্কৃত উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস যাকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব বলা যায়, এটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়।

ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডেকে সর্বপ্রথম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স বলে উল্লেখ করা হতো, মূলত এই ভালোবাসা দিবস দুইজন খ্রিস্টান শহীদকে সম্মান জানাতে খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল পরবর্তীতে ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় সকলের তারে প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে এই দিবস করতে শুরু করে।

সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রেম ভালবাসা ও সাংস্কৃতিক একটি অনুষ্ঠানে দিবসের বর্ণিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এই দিবসের মাধ্যমে প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজনদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ভালবাসা কি?

আসলে ভালোবাসার সংজ্ঞাটা অনেক বিশাল। এটাকে কখনোই লিখে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় না। এটা একটা অনুভূতি। যা হৃদয়ের অনেক গভীরে অনুভূত হয়। অনুভব করার মাধ্যমেই একে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করা যায়।

ভালোবাসা হচ্ছে অস্বাভাবিক উদারতা।ভালোবাসা হচ্ছে বিসর্জন। অন্যের খুশির জন্য নিজের ইচ্ছা, পছন্দকে বিসর্জন দেয়ার নাম ভালোবাসা।

ভালোবাসা দিবস কত তারিখ

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস কে কেন্দ্র করে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিনে পালন করা হয়ে থাকে আর এই দিনটি হল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি যা ভ্যালেন্সটাইন্স ডে বা ভালবাসা দিবস নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৪৯৬ সাল থেকে এই দিবসটি বিভিন্ন দেশে পালন করা হচ্ছে এবং সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের দিকে প্রচলন শুরু হয় এবং খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস।

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম শফিকুর রহমান (সাংবাদিক) ১৯৯৩ সালের সর্বপ্রথম এই দিবস টি বাংলাদেশের পত্রিকায় প্রকাশ করেন এবং তারপর থেকেই দেশবাসীর নিকট ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে জানিয়ে দেন। বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ভালবাসার প্রবর্তক হলেন শফিকুর রহমান।

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস

২৬৯ সালে ইতালির রোম নাগরীতে সেন্ট ব্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। তাকে ধর্ম প্রচারের জন্য তৎকালীন দ্বিতীয় সম্রাট বন্দী করেন। বন্দি থাকা অবস্থায় তিনি জেলখানায় একটি দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেন, সেন্ট ব্যালেন্টাইন সারা রুমানব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে আর তার প্রতি স্বর্ণীত হয়ে রাজা থাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আর সেই দিন ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

৪৯৬ সালের ১ নং জুলিয়াস valentine বা ভালবাসা দিবসের স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করেন। খ্রিস্টানগত পাদ্রী ও তার সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে।

ভালবাসা দিবস কিভাবে আসলো

প্রাচীন রুমে তখন 14 ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর জুনানের ছুটির দিন। ঝুলানকে সবাই প্রেমের দেবী বলে সম্মেলন করতেন এবং সবাই তাকে বিশ্বাস করতেন তিনি ভালোবাসার দেবী। আর এই কারণেই অনেকে বলে থাকেন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি এই জন্যই ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত লাভ হয়েছে।

আবার অনেকেই বলে সম্রাট ক্লডিয়াস 200 খ্রিস্টাব্দে দেশের সর্ব প্রথম বিয়েপথা বন্ধ করে দেন। সম্রাট এই সম্পর্কে মূল বক্তব্য দেন যদি সবাই বিয়ে করে তাহলে যুদ্ধে যাবে কারা এই কথা শুনে এক যুবক এর প্রতিবাদ করেন। এর ফলে সম্রাট তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় পরবর্তীতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা তার মাথা কেটে ফেলা হয়। আর এই আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতে মূলত চোদ্দই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভালোবাসা বা ভ্যালেন্টাইন্স দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ভালোবাসা দিবস কেন পালন করা হয়

ভালোলাগার ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক মানুষই জীবন দিয়েছে। পর থেকে পাওয়া জন্মসূত্রে ভালোবাসা সেই অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যাদের জীবন দিতে হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইনস ডে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়।

১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস

বাংলাদেশে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আমরা একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালবাসার কথা ও দৃষ্টান্ত এক নতুন রূপ প্রকাশ করতে পারি এবং সবাইকে বোঝাতে পারি আমরা তাদেরকে কতটা ভালোবাসি সেই উপলক্ষে এই দিনটিকে আমরা পালন করে থাকি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top