জীবন নিয়ে ইসলামিক কথা – ইসলামিক জীবন যাপন করতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে সবসময় বোকামি করে চললে হবে না। তাই নিজেকে বশে রাখতে হবে ইসলামিক উপায়ে নিজেকে সংযত রাখতে হবে আজকের এই পোস্টে কিভাবে নিজেকে এবং সংযত রাখবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
জীবন নিয়ে আমরা কত কিছু ভেবে থাকি কিন্তু ক্ষণিকের জন্যই আমরা ভুল করে ফেলি। আর সেই ভুলের খেসারত দিতে দিতে কষ্টের নদী বয়ে যায়। তাই জীবনে যেন ভুল না হয় সেই বিষয় মাথায় রেখে আজকের এই পোস্টে জীবন নিয়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব যা আপনার জীবনে প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রত্যেক মানুষেরই উচিত নিজের জন্য জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা তৈরি করা যা প্রতিনিয়ত মেনে চলার মাধ্যমে জীবনে সাফল্যের চরম পথে পৌঁছানো যাবে। এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো জীবনের জন্য ৬টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।
চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করো
যখন তুমি একা থাকো, নিজের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করো। মানুষ চিন্তা করা ছাড়া কোন কাজ করতে পারে না। মানুষ একা থাকলে খারাপ চিন্তাই বেশি করে তাই এমনটা যেন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত এবং প্রতিটা বিষয় ও কাজ করার আগে অবশ্যই পজিটিভ চিন্তা করে কাজ করতে হবে।
খারাপ বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে নিচের চিন্তা কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে পারেন। এবং নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনি খারাপ চিন্তা কে দূর করতে পারেন।
জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করো
যখন তুমি বন্ধুদের সাথে থাকো, জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করো। আমরা যখন বন্ধুদের সাথে থাকি তখন হাসি ঠাট্টার মধ্য অনেক খারাপ কথা এবং বাজে মন্তব্য করে থাকে তাই এই বিষয়কে এড়িয়ে চলতে হবে এবং জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কোন সময় যেন মুখ দিয়ে খারাপ কথা বের না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনি নিজেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে পারেন, যে আজকে আর খারাপ কথা বলবো না এবং যখন বন্ধুরা খারাপ কথা বাজে মন্তব্য নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তখন নিজের মুখ বন্ধ রাখবো প্রয়োজনে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করব।
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করো
যখন তোমর রাগ হবে, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করো। আমাদের অনেকেরই অল্প কথাতেই রাগ উঠে যায় এবং মারামারি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাই উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে কোন কিছুতেই আপনাকে খারাপ কাজের দিকে ধাবিত না করতে পারে।
উত্তেজনার বসে খারাপ কাজ করা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি রাগ উঠলে তখন আর মাটিতে বসে পড়তে পারেন এতে রাগ এবং উত্তেজনা অনেকাংশেই কমে যায় এবং প্রতিনিয়ত নামাজ এবং ব্যায়াম করার মাধ্যমেও উত্তেজনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করো
যখন তুমি অনেক মানুষের সামনে আছো, নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করো। প্রায় অনেক মানুষকেই দেখা যায় যারা অনেক মানুষের ভিড়ে কিছু না বুঝেই মন্তব্য করে ফেলে এবং পর বুঝতে পারে সে ভুল করেছে তার এরকম আচরণ করা ঠিক হয়নি।
তাই এরকম কোন নিন্দনীয় কাজ যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং কথা ভালোভাবে শোনার পর মন্তব্য করতে হবে এবং নিজের আচরণ ব্যবহার সবকিছু ঠিক রাখতে হবে। নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে কথা কম বলতে পারেন এবং কোন জায়গায় কোন কথা বলা লাগবে সেটা হিসাব করে বললে আপনার আচরণে কোন খারাপ প্রভাব পড়বে না।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করো
যখন তুমি বিপদে পড়ছো, আবেগ নিয়ত্রন করো। আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত বিপদ আসতেই থাকে আমরা অনেকেই এই দুঃসময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আবেগের কারণে মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না।
আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী কেননা আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে জীবনের সর্বনাশ হবে। অনেক সময়ই দেখা যায় বিপদে কোন বন্ধু বা কারো হেল্প পাওয়া যায় না তখন আমরা ভীষণ আবেগী হয়ে পড়ি এবং ভাবতে থাকি হয়তো কেউ আমাকে পছন্দ করে না। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব সময় পজেটিভ চিন্তা থাকতে হবে এবং ম্যাচুরিটি ভাব থাকতে হবে।
অহংকার নিয়ন্ত্রণ করো
যখন রব তোমাকে সফল করে দিচ্ছে, অহংকার নিয়ন্ত্রণ করো। প্রায় দেখা যায় কিছু মানুষ সফলতা পেয়েই অহংকার তাদের ভূষণ হয়ে যায়। অহংকার করা যেমন পাপ তেমন এটি একটি নিম্ন মস্তিষ্কের কাজ অহংকার মানুষের ধ্বংসের মূল তাই অহংকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
যখন তোমার অনেক ধন-সম্পদ থাকবে এবং তোমাকে দেখে সবাই হিংসা করবে তখন তাদের সাথে কখনোই এই বিষয় নিয়ে অহংকার করবে না। অহংকার নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে সবসময় সরল মনে ভাবতে হবে এই জীবন ক্ষণস্থায়ী তাই অহংকার করার কিছুই নেই। মানুষের জন্মতে যেমন শুরু হয়েছিল তেমন মৃত্যুতেও শেষ হয়ে যাবে তাই অহংকার করার কিছু নেই।